My expectation/আমার প্রত্যাশা
দেখিনু সে দিন রেলে,
কুলী বলে এক বাবুসাব মোরে
ঠেলে দিল নিচে ফেলে।
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি করিয়া জগৎ জুরিয়া
মার খাবে দূর্বল?
এমনি ছিল হয়তো কবিতাটা, তো কবিতা টা যখন আমি আমার ক্লাসে পড়েছিলাম আমার মনটা খুব খারাপ হয়েছিল।এই ভেবে যে আসলেই অসহায়ের প্রতি বুঝি এমনি অত্যাচার হয়।কিন্তু না এই কথা ভেবে আমার বা আমাদের মন খারাপ করার কোন সুযোগই নেই,কারন আর সমস্ত দেশের কি অবস্থা তা জানি না তবে বাংলাদেশের কুলিরা আজ আর বাবুদের ধাক্কা বা ঠেলা খায় না। বরং তারা আজ কবির আর্শীবাদ বা ক্ষমতা বানদের ছত্রছায়ায় বাবুদের ঠেলা দিয়ে চলছে ।বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রমিক শ্রেনি প্রাপ্র অধিকার না পেয়ে অবহেলার শিকার হলেও কুলি শ্রেণি নিজেদের ভালই উন্নয়ন সাধন করে চলেছে।
যারা নৌ-রুটে চলাচল করে তাদের মনে ঘাটের কুলিরা ত্রাসের সৃস্টি করে। যেমনঃ সদর ঘাট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নৌ রুট ।এই খানে যে কুলিরা রয়েছে তারা সাধারণ যাত্রীদের সব সময় হয়রানি করে থাকে। কয়েক টা ঘটনা বলি।আমার এক দুলাভাই আটশত টাকা দিয়ে একটি বেতের রেক কিনলেন তিনি সেটা গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবেন। সদর ঘাটে পৌছানোর পর তিনি ভিরের জন্য সেটা মাথায় নিয়ে টার্মিনালে পৌছালেন।ঘাটের কুলিদের এই দৃশ্য দেখে খুবই খারাপ লাগল তিনজন এগিয়ে আসলেন সাহায্য করতে,তাদের মানা করে দুলাভাই সোজা লঞ্চের সামনে চলে এলেন।এবার তারা লঞ্চে উঠতে বাধা দিল সাহায্য যেহেতু নিবে না ,না নিক তাদের বখশিশ দিতে হবে।কত?জিজ্ঞাসা করাতে জানাল ৬০০ টাকা।তিনি বললেন আমিত এটা কিনেছি ৮০০ টাকাতে।তারা তাদের কথায় অনড়।দুলাভাইয়ের খুব রাগ হল,তিনি র্যাকটা বুড়িগঙ্গাতে বিসর্জন দিয়ে একা লঞ্চে উঠে বসলেন।
এক ছেলেকে দেখেছিলাম কিছু চেয়ার কিনেছে গ্রামে নিয়ে যাবে,তো এক কুলি তাকে ধরেছে ,সে বলল আমার চেয়ার আমি নিতে পাড়ব,না তা হবে না।তাদের কেউ একজন নিয়ে যাবে।তো চেয়ার প্রতি মজুরি চল্লিশ টাকা,দিতে বাধ্য।
কিছু দিন আগে দেখেছিলাম You Tube এ সম্পর্কিত ঝামেলায় এক লঞ্চ যাত্রিকে মারধোর করেছেন এক কুলি।
অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ না করে বসে বসে ঐ যাত্রীর মার খাওয়ার দৃশ্য দেখছিল।
ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটের অবস্থাতো আরো খারাপ,কুলীদের কাজ হল মালামাল পরিবহনে সাহায্য করে পারিশ্রমিক নেয়া, কিন্তু ফতুল্লায় চিত্র ভিন্ন সেখানে আপনার মালামাল আপনি নিজে বহন করবেন কিন্তু তাদের টাকা দিতেই হবে।হাতের ব্যাগটা একটু বড় দেখলেই আটকে ধরে টাকার জন্য।
এটাতো আমার দেখা দুইটা ঘাটের অবস্থা,এমনতো আরো অনেক স্থান রয়েছে।
এভাবে যাত্রী হয়রানী দেখার বা এই সমস্যা সমাধানের কেউ নেই।কর্তীপক্ষ সব জেনেও চুপ।আমাদের প্রত্যাসা হল শ্রমীক যেন অবহেলীত না হয়,এবং সাধারন যাত্রীরাও যেন বিনা হয়রানীতে তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে।
কুলী বলে এক বাবুসাব মোরে
ঠেলে দিল নিচে ফেলে।
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি করিয়া জগৎ জুরিয়া
মার খাবে দূর্বল?
এমনি ছিল হয়তো কবিতাটা, তো কবিতা টা যখন আমি আমার ক্লাসে পড়েছিলাম আমার মনটা খুব খারাপ হয়েছিল।এই ভেবে যে আসলেই অসহায়ের প্রতি বুঝি এমনি অত্যাচার হয়।কিন্তু না এই কথা ভেবে আমার বা আমাদের মন খারাপ করার কোন সুযোগই নেই,কারন আর সমস্ত দেশের কি অবস্থা তা জানি না তবে বাংলাদেশের কুলিরা আজ আর বাবুদের ধাক্কা বা ঠেলা খায় না। বরং তারা আজ কবির আর্শীবাদ বা ক্ষমতা বানদের ছত্রছায়ায় বাবুদের ঠেলা দিয়ে চলছে ।বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রমিক শ্রেনি প্রাপ্র অধিকার না পেয়ে অবহেলার শিকার হলেও কুলি শ্রেণি নিজেদের ভালই উন্নয়ন সাধন করে চলেছে।
যারা নৌ-রুটে চলাচল করে তাদের মনে ঘাটের কুলিরা ত্রাসের সৃস্টি করে। যেমনঃ সদর ঘাট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নৌ রুট ।এই খানে যে কুলিরা রয়েছে তারা সাধারণ যাত্রীদের সব সময় হয়রানি করে থাকে। কয়েক টা ঘটনা বলি।আমার এক দুলাভাই আটশত টাকা দিয়ে একটি বেতের রেক কিনলেন তিনি সেটা গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবেন। সদর ঘাটে পৌছানোর পর তিনি ভিরের জন্য সেটা মাথায় নিয়ে টার্মিনালে পৌছালেন।ঘাটের কুলিদের এই দৃশ্য দেখে খুবই খারাপ লাগল তিনজন এগিয়ে আসলেন সাহায্য করতে,তাদের মানা করে দুলাভাই সোজা লঞ্চের সামনে চলে এলেন।এবার তারা লঞ্চে উঠতে বাধা দিল সাহায্য যেহেতু নিবে না ,না নিক তাদের বখশিশ দিতে হবে।কত?জিজ্ঞাসা করাতে জানাল ৬০০ টাকা।তিনি বললেন আমিত এটা কিনেছি ৮০০ টাকাতে।তারা তাদের কথায় অনড়।দুলাভাইয়ের খুব রাগ হল,তিনি র্যাকটা বুড়িগঙ্গাতে বিসর্জন দিয়ে একা লঞ্চে উঠে বসলেন।
এক ছেলেকে দেখেছিলাম কিছু চেয়ার কিনেছে গ্রামে নিয়ে যাবে,তো এক কুলি তাকে ধরেছে ,সে বলল আমার চেয়ার আমি নিতে পাড়ব,না তা হবে না।তাদের কেউ একজন নিয়ে যাবে।তো চেয়ার প্রতি মজুরি চল্লিশ টাকা,দিতে বাধ্য।
কিছু দিন আগে দেখেছিলাম You Tube এ সম্পর্কিত ঝামেলায় এক লঞ্চ যাত্রিকে মারধোর করেছেন এক কুলি।
অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ না করে বসে বসে ঐ যাত্রীর মার খাওয়ার দৃশ্য দেখছিল।
ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটের অবস্থাতো আরো খারাপ,কুলীদের কাজ হল মালামাল পরিবহনে সাহায্য করে পারিশ্রমিক নেয়া, কিন্তু ফতুল্লায় চিত্র ভিন্ন সেখানে আপনার মালামাল আপনি নিজে বহন করবেন কিন্তু তাদের টাকা দিতেই হবে।হাতের ব্যাগটা একটু বড় দেখলেই আটকে ধরে টাকার জন্য।
এটাতো আমার দেখা দুইটা ঘাটের অবস্থা,এমনতো আরো অনেক স্থান রয়েছে।
এভাবে যাত্রী হয়রানী দেখার বা এই সমস্যা সমাধানের কেউ নেই।কর্তীপক্ষ সব জেনেও চুপ।আমাদের প্রত্যাসা হল শ্রমীক যেন অবহেলীত না হয়,এবং সাধারন যাত্রীরাও যেন বিনা হয়রানীতে তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে।
No comments