জানা অজানা
-----শীতের বাতাসে(ঠান্ডা)অসংখ্য পানিকণা ভেসে বেড়ায়।এ বাতাসের তুলনায় শরীরের তাপ বেশি থাকায় মুখ দিয়ে বের হওয়া বাতাস বাইরের ঠান্ডা পানিকণার সাথে মিশে ঘন পানি কণায় পরিনত হয়, যা ধোয়ার মত দেখায়।
২.জন্মের সময় শিশুর দাঁত থাকে না কেন?
-----শিশুরা জন্মের পর শুধু মায়ের দুধ খায় বলে দাঁতের প্রয়োজন হয় না তাইশিশুরা দাঁত ছাড়া জন্মায় এবং সাধারনত ছয় বা আট মাস পর তাদের প্রথম দাঁত ও মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ হলে স্থায়ী দাঁত ওঠে।
৩.নিজের গায়ের গন্ধও আমরা পাই না কেন?
-----মানুষের নাসারন্ধ্রে বিদ্যমান অলফ্যাক্টরি এপিথিলিয়াম টিস্যু মস্তিষ্কের অলফ্যাক্টরি নিউরনের সাথে যুক্ত থাকায় বাতাসের সঙ্গে কোনো ক্ষুদ্র কণা নাকের এ সেল গুলোকে উদ্দীপিত করলে এ খবর মস্তিষ্কে পৌছে গন্ধের অনুভূতি জন্মায়।কিন্তু নিজের গায়ের গন্ধের ক্ষেত্রে তা নাকের নির্দিষ্ট অলফ্যাক্টরি টিস্যু গুলোকে উদ্দীপিত করে না বলে আমরা গন্ধ পাই না।
৪.লাফিং গ্যাস শুঁকলে হাসির উদ্রেক হয় কেন?
-----নিঃশ্বাসের সাথে লাফিং গ্যস(নাইট্রাস অক্সাইড) গ্রহন করলে তা ফুসফুস থেকে ব্যাপন পক্রিয়ায় রক্তে প্রবেশ করে দ্রুত মস্তিষ্কে পৌছায়।মস্তিষ্কে পৌছে এটি 'গ্লুটামেট' ও 'গাবা' নামের দুটি রিসিপ্টরের সাথে বন্ধন সৃষ্টি করে।এর মধ্য হতে গাবা রিসিপ্টর 'নিউরোট্রান্সমিটার' নামক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক বস্তু ক্ষরন করায় হসির উদ্রেক হয়।
৫.দুধ সাদা দেখায় কেন?
-----কোনো বস্তুর উপর আলো পতিত হলে তা থেকে যে বর্ন গুলো প্রতিফলিত হয়ে এসে চোখে পড়ে,তাই আমরা দেখি।আর আলো বস্তুটিতে শোষিত না হয়ে পুরোপুরি প্রতিফলিত হলে তা সাদা দেখায়।দুধের আনবিক গঠন সূর্যরশ্মির সাতটি বর্নকেই প্রতিফলিত করে বলে তা সাদা দেখায়।
৬. কুকুর বিড়াল বা কবুতর কেন পথ হারায় না ?
কারণ এসব প্রাণির তীব্র ঘ্রাণ শক্তি (বিশেষত কুকুর ও বিড়াল ) ও দেহে বিদ্যমান (বিড়ালের কানে ও কবুতরের ঠোঁটে ) বিশেষ ধরনের আয়রন থাকায় ,তা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যবহার করে দিক চিনে নেয়।ফলে এরা পথ হারায় না।
No comments