আমার পোষা বিড়াল
আমার পোষা বিড়াল
পুশি নামে আমার একটা বিড়াল ছিল।বিড়ালটা আমি আমার বাসার পাশে পেয়েছিলাম,কেমন অবস্থায় পেয়ে ছিলাম? ছোট বাচ্চারা গলায় দড়ি লাগিয়ে টানছে আর ওটা বাচার জন্য চিৎকার করছে।সকাল বেলা বাসার কিছুটা সামনে এলাকার পিচ্চি পাচ্চাদের জটলা দেখে সামনে গিয়ে দেখলাম ভাল ভাবে চোখ ফোটে নি,ধবধবে সাদা তুলতুলে ছোট একটা বিড়ালের বাচ্চা।দেখে আমার খুব মায়া লাগলো।বাচ্চাগুলোকে ধমক দিয়ে সরিয়ে বিড়ালটাকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।আমার মা আবার কুকুর বিড়াল পছন্দ করে না,তাই সে আমার সাথে রাগারাগি শুরু করলেন।মায়ের সাথে পারবোনা বুঝতে পেরে বিড়ালটাকে বাইরে নিয়ে আসলাম।ঘরের পাশেই একটা সুবিধা জনক জায়গা ঠিক করলাম বিড়ালটাকে রাখার।আমি প্রানী পছন্দ করলেও কিন্তু ধরতে খুবই ভয় পাই।যেমন ধরুন একটা মুরগির বাচ্চাও হাত দিয়ে ধরতে পারি না।তাই মোটা একটা কাপড় জোগার করলাম যেটা হাতে জরিয়ে বিড়ালটাকে ধরতে পারি,কারন ওটা এতই ছোট যে নিজে নিজে কিছু খেতেও পারে না।তাই আমি দোকান থেকে দুধ কিনে এনে ড্রপারে করে ওটাকে খাওয়ালাম ,আর তখন ছিল শীতকাল তাই সেই মোটা কাপড়টা দিয়ে ওটাকে জরিয়ে দিলাম।বাসায় এবং বাসার আসে পাসে যারা ছিল সবাই আমার তৎপরতা দেখে হাসতে লাগলো।পাশের বাসার ভাবি টিটকারি করে বললো এটাকি তোমার বাচ্চা আমি উত্তর দিলাম,না তোমার বাচ্চা রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসছিলাতো দেখে খারাপ লাগলো তাই তুলে নিয়া আসলাম।ভাবি মুখে ভেংচি কেটে চলে গেল।
রাতে বাবা বাসায় ফেরার পর বাবাকে দিয়ে মার কাছ থেকে বিড়ালটাকে ঘরে আনার অনুমতি আদায় করে নিলাম।পুশির মাছ খাওয়া বুঝতে সময় লাগে আরো ৭ দিন ,এই ৭ দিন আমার পকেটের টাকা খরচ করে ওর জন্য দুধ কিনতে হয়।খাবার খাওয়াতে গিয়ে দেখি ওমা পুশি মাছ খাবে ভাত খাবে না , আমি এত মাছ কই পাই।মাতো আমার উপর রাগ,আমিও বুদ্ধি করে মাছ ভাতের সাথে একদম মিসাইয়া ফেলতাম।বেচারা যায় কই বাধ্য হয়ে খাওয়া লাগতো।পুশির একটা অদ্ভুত ব্যপার ছিল,মাংশের ঘ্রান পাইলে পাগল হয়ে যেত না দেয়া পর্যন্ত।ও যে আমার কত প্যাকেট পটেটো চিপস খাইছে তারতো কোন হিসাবই নাই।পুশির একটা ব্যাপার ছিল ওর পটি করার প্রয়োজন পরলে বাইরে গিয়ে পটি করতো।এক দিনের ঘটনা পুশি আর আমি বাইরে রোদে বসে আছি,একটা চড়ুই পাখি দানা খুজতেছে আমাদের সামনে। চড়ুই টা মাটিতে নামলে পুশি দৌড় দেয় আর পাখিটা উরে যায়,এমন চলছে আমি বসে বসে দেখছি।হঠাৎ কি হল পুশি সুযোগ পেয়ে পাখিটাকে খপ করে মুখে পুরে দে দৌড়,আমিও ছুটলাম একদম আমাদের খাটের তলায়।পাখিটাকে বাঁচাতে পুশিকে বের হয়ে আসতে বললাম,দেখলাম ওর চেহারাটা পুরো হিংস্র হয়ে উঠেছে।আমি ওকে খাটের তলা থেকে বের করতে পারলাম না ও পাখিটাকে খেয়ে ফেলে বের হল,আমার খুব রাগ হল আমি এক লাথিতে ওকে দড়জার বাইরে ফেলে দিলাম।
Just wanted to say what a wonderful article it is. Your writing is quite clear, and I can tell you are an authority on the subject. Daily news bd.
ReplyDelete