শিশু মৃত্যু রোধে করণীয়
বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনের শিশু পালন বিদ্যা শীর্ষক প্রবন্ধটি এবার আমাদের পাঠ্যসূচিতে রয়েছে।প্রবন্ধটি পড়ে বুঝলাম যে তাতে শিশু মৃত্যু হার বৃদ্ধির কারণে উৎকণ্ঠিত লেখিকা নবজাতক এবং প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয় করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।আমি খুবি অবাক হলাম এটা দেখে যে লেখিকা যে সমস্যার বিষয়টি নিয়ে প্রায় ১১০ বছর পূর্বে আলোচনা করেছেন সেই একই সমস্যা বর্তমান সময়েও বিদ্যমান,শুধুমাত্র তার প্রতিবেশ ছাড়া আর কিছুই পরিবর্তন হয়নি।লেখিকা তার প্রবন্ধে অধিক হারে শিশু মৃত্যুর কারন হিসাবে বাল্যবিবাহ এবং মেয়েদের শিক্ষাহীনতাকে প্রধান কারন হিসাবে দেখিয়েছেন।কিন্তু বর্তমান সময়ে সমস্যার পরিধি বেড়েছে,কারন শুধুমাত্র ২ টা নয় হাজারটা।শিশু মৃত্যু হার কমানোর জন্য শুধুমাত্র শিশুর জন্মের পর তার ভাল পরিচর্যাই নয়,গর্ব ধারনের পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করা উচিত যেমন-প্রথমত বেগম রোকেয়া যেটা বলেছেন যে বাল্য বিবাহকে না বলতে হবে,এক জন মা যেন মায়ের বয়সি ই হন.১৬-১৭ বছরের কিশোরী অবশ্যই মা হওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়।গর্ভধারনের পূর্বেই ডক্তারের পরামর্শ গ্রহন,যেমন আমাদের দেশে মায়েদের প্রধান একটা স্বাস্থ সমস্যা হল রক্ত স্বল্পতা,যার জন্য প্রসব কালীন সময়ে মা এবং শিশু উভয়েরই মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।তার জন্য গর্ভধারনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি কিছু রক্ত পরিক্ষা করে নেয়া উচিত,যেমন রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা,হিমগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রয়েছে কিনা,এছাড়াও একজন মা সন্তান ধারনের জন্য পারফেক্ট কিনা তা নিশ্চিত হওয়া।
No comments